বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
টপ নিউজ::
শেরপুরে ঝগড়ারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২ কোটি টাকার ক্ষতি সাবেক সাত মন্ত্রী এক বিচারপতি সহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব নকলা হাসপাতালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাসিক সমন্বয় সভা আওয়ামী দোসরদের নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখলের চেষ্টা, ১০ সাংবাদিক আহত নোয়াখালীতে ১০ বছরের ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে বানিয়াগাঁতী স্কুল এন্ড কলেজে  বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাটি কাটার গাড়ি জব্দ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাতে ২২১০০ পিস ইয়াবাসহ ১ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক সুবর্ণচরে বিধবাকে গণধর্ষণ, পলাতক আসামী গ্রেপ্তার ১ মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ধর্ষণের শিকার, এলাকায় উত্তেজনা

‘সাকরাইন’ মানে কী, কীভাবে এলো এ উৎসব

সালমান শুভ, স্টাফ রিপোর্টার / ৫৯ বার
আপডেট সময় :: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন

বাংলা পৌষ মাসের শেষে শীত মৌসুমের বার্ষিক উৎসবকে ‘সাকরাইন উৎসব’ নামে পালন করা হয়। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ছোট-বড় সবাই মেতে ওঠে এ উৎসবে ।

পুরান ঢাকায় এবার ১৪ জানুয়ারি পালিত হল সাকরাইন উৎসব ১৪৩০ । দিনের শুরু থেকেই পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে চলে পিঠা বানানোর ধুম।

উৎসবটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও বহু বছর ধরে পুরান ঢাকায় সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে সাকরাইন উৎসব। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবকে ‘পৌষ সংক্রান্তি’ বা ঘুড়ি উৎসবও বলা হয়ে থাকে। সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে।

পৌষ মাসের শেষ দিনে এই সাকরাইন উৎসব আয়োজন করা হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকা তারিখের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্যের কারণে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এই উৎসবটি পালন করেন পুরান ঢাকা বাসিন্দারা।

এই উৎসব সম্পর্কে পুরান ঢাকার একজন বাসিন্দা বলছিলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা একে ‘পৌষ সংক্রান্তি’ বলে থাকেন।

তবে পুরান ঢাকায় একে বলা হয় সাকরাইন উৎসব। দুটা একই উৎসব হলেও হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে পূজার বিষয়টা রয়েছে, যা মুসলমানদের মধ্যে নেই।

সাকরাইনের প্রধান আকর্ষণ ঘুড়ি খেলা। তাই উৎসবের দিন বিকেল থেকে পুরান ঢাকার প্রতিটি বাড়ির ছাদ থেকে শত শত ঘুড়ি উড়তে থাকে। ঢাকার অন্য অঞ্চল থেকেও হাজারো মানুষ ভিড় জমান ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবটি উপভোগ করতে।

শুধু ঘুড়ি ওড়ানোই নয়, ঘুড়ি কাটাকুটি খেলাও শুরু হয়ে যায়। রং-বেরঙের ঘুড়ি এক সঙ্গে উড়ে ঢাকার আকাশকে বর্ণিল করে তোলে। সন্ধ্যা নামলে খেলা শেষে শুরু হয় আতশবাজি, শত শত ফানুসে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ।

সঙ্গে থাকেন বিভিন্ন শিল্পী। গান গেয়ে, খেলা দেখিয়ে তারা দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। ঘরে ঘরে তৈরি হয় বিভিন্ন পিঠাপুলিসহ নতুন খাবার। নানা রকম খাবারের পাশাপাশি ছাদে চলতে থাকে আড্ডা ও নাচ-গান ।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!