শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের গুলিতে ও গাড়ী চাপায় ছাত্র হত্যা মামলার গাড়ীচালক হারুনুর রশিদ (৫১) ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃআশিকুর রহমান আশিক (২৭) কে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হারুন শেরপুর জেলা প্রশাসক অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বহনকারি সাবেক গাড়ীর ড্রাইভার। হারুন ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি বাইপাস রোডের জয়নাল আবিদিন এর ছেলে। আশিক শেরপুরের সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিক এর ভাতিজা। কামারিয়া ইউনিয়নের বারগড়ীয়া গ্রামের জয়নাল আবদিন তোতার ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে গাড়ী চালক হারুনকে সৌরভ ,মাহাবুব ও সবুজ হত্যার ৩ মামলায় ও ছাত্রলীগ নেতা আশিককে ওই তিন ছাত্র হত্যা মামলা সহ ৬ মামলায় রিমান্ডের আবেদন সহ আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর মাহমুদ উভয়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃজিয়াউর রহমান বলেন গ্রেফতারকৃত ওই দুই আসামির মামলার নথিগুলো তলব মতে দায়রা আদালতে থাকায় নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হবে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় ৪ আগস্ট শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলন শান্তপ্রিয় ভাবেই চলছিল হঠাৎ এই গাড়ী চালক হারুন ছাত্র জনতার উপর দিয়ে সজ্ঞানে ম্যাজিস্টেট বহনকারি গাড়ীটি উঠিয়ে দেয় এ ঘটনায় তিন জন নিহত হন। তাই বলা যায় শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করার মূল হুতা এই হারুন। হারুন শেরপুরে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বদলি হয়ে সেখানে তিনি কর্মরত ছিলেন। শেরপুর থানা থেকে এস আই আনসার আলীর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ হারুনকে ব্রাহ্মাণবাড়ীয়া জেলা প্রাশাসক কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।