যে আশ্রয়ন প্রকল্পে অসহায়,দরিদ্র আর ভুমিহীনরা শান্তিপুর্ন ভাবে বসবাস করার কথা,সেখানে চলে মাদক আর দেহ ব্যবসা অভিযোগ ভুক্তভোগী আর স্থানীয়দের। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের একটি গ্রাম লক্ষীপুর।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের অন্যান্য গ্রামের মত লক্ষ্মীপুর গ্রামেও দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়।একটি গ্রামের পূর্ব উত্তরে অপরটি দক্ষিণে।দক্ষিনের আশ্রায়ন প্রকল্পে ১৪৪টি আঁধাপাকা ঘর রয়েছে।যে ঘরগুলো ভুমিহীন আর হত দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করার কথা।একটি ঘরের সাথে দুই শতাংশ জায়গা ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া হয় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে।সাবেক এমপি ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সময়ে তার স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাদের না দিয়ে, যাদের বাড়িঘর রয়েছে,ছেলেরা বিদেশে আছে এমন লোককেও টাকার বিনিময়ে ঘরগুলো দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।আর যে সমস্ত গরীব অসহায়রা ঘর পেয়েছিল সেই সব ঘরগুলো এখন আবার অল্প টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীরা কিনে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।যদিও ঘরগুলো বিক্রি আইনসিদ্ধ নয়, তার পরও ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে জায়গা সহ প্রতিটি ঘর ৮০ হাজার, একলাখ ৩০ হাজার,একলাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়েওই সব ব্যক্তিরাই দুইটা করে ঘর কিনে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।তাছাাড়াও বর্তমানে সেই আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাদক আর দেহ ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় প্রভাবশালীদের অত্যাচারে কেহ আবার ঘর রেখেই চলে যাবার খবর পাওয়া গেছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা নাসিরনগর সদরের ক্ষিরোধ আচার্য্য জানান স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ভয়ে সে তার ঘর ফেলে চলে এসে নাসিরনগর সদরে ভাড়ায় থাকেন।স্থানীয়দের প্রায়ই আশ্রয়ণে বসবাসকারী দরিদ্র ও বহিরাগতদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের ও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪নং ঘরের বাসিন্দা মোঃ জুলহাস মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (৬) প্রভাবশালী নুরুল হকের চুলার আগুনে ঝলসে যায়।পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন ঘটনাস্থল থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।বর্তমানে ইউ,এন,ও আর জেলা প্রসাশকের আর্থিক সহযোগিতায় মাসুমের চিকিৎসা চলছে।
মহিলালীগ নেত্রী সালমা বেগমের বিরোদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা সহ দুইটি ঘর ক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে।যদিও সালমা বেগম ঘর ক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রুক্কু মিয়া সহ কয়েকজন জানান উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০/৩৫ টি ঘর বিক্রি হয়েছে।তারা বলেন এটা আশ্রয় কেন্দ্র নয় মাদক আর দেহ ব্যবসার কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।
যুবলীগনেতা ও সাবেক মেম্ভার মোঃ আমীর হোসেন আওয়ামীলীগের ক্ষমতাবলে সরকারী খাস জায়গা দখলে নিয়ে ঘর নির্মান করে সেখানে বসবাস করার ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী রবিউস সারোয়ারের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন এই মাত্র আপনার কাছ থেকে শুনলাম।স্যার যেহেতু গিয়েছে,এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।