সোমবার (২৬ মে) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান অবস্থান কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৭ মে) থেকে দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মবিরতিতে অংশ নেবেন।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২১ মে থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তবে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, ছয়দিন পার হলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলো-
১. আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, যিনি তাদের ভাষায় ‘অত্যাচারী ও দমনমূলক আচরণে’ কর্মপরিবেশ নষ্ট করছেন।
২. অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন এবং আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা পুনর্গঠন।
৩. অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।
৪. হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল।
৫. শাস্তিমূলক বদলি বাতিল এবং বরখাস্ত/সংযুক্ত কর্মীদের পদায়ন।
৬. পর্যাপ্ত জনবল দিয়ে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ডিউটি কাঠামো বাস্তবায়ন।
৭. অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এক কর্মীর গ্রেপ্তার ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন তারা, যার ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এবারের আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে এবং সরকারের প্রতি দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।