শেরপুরের নকলায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অসচ্ছল, বিধবা, তালাক প্রাপ্ত নারীদের এ কর্মসূচির আওতায় এনে তাদের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে গত ৩ মাসের একত্রে ৯০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত ২৬৪ জন নারীর হাতে চাল তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মতিউর রহমান, কৈয়াকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম, তদারককারী কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন রনি, ইউপি সংরক্ষিত সদস্য আসমা আক্তার, ছালেহা বেগম ও সুলতানা আক্তার সম্পা; ইউপি সাধারন সদস্য রুবেল উদ্দিন, আনারুল ইসলাম, আদম শফিক, হামিদুল ইসলাম, বাজু মিয়া, মাফিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু ও উবায়দুল হক, ব্যাংক এশিয়ার পাঠাকাটা ইউপির এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার এজেন্ট ও ইউনিয়ন উদ্যোক্তা মো. সেলিম রেজা, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধভোগী অসচ্ছল, বিধবা, তালাক প্রাপ্ত নারী ও গ্রাম পুলিশগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মসূচির দুই বছর মেয়াদ শেষ হলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠি ও আগত ঈদুল আযহার বিবেচনায় তা ৩মাস বর্ধিত করেছে সরকার। সুবিধার মেয়াদ বর্ধিত হওয়ায় আগের সুবিধাভোগীরাই এ সুবিধার আওতায় রয়েছেন।
তথ্য মতে, উপজেলার ২ হাজার ১৬৯ জন ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধাভোগী নারীর মধ্যে গনপদ্দী ইউনিয়নের ২৯৩ জন, নকলা ইউনিয়নের ২২৩ জন, উরফা ইউনিয়নের ২৭১ জন, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ১৪১ জন, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ২০৫ জন, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ২৬৪ জন, টালকী ইউনিয়নের ২০৭ জন, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ২৬৬ জন ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ২৯৯ জন অসচ্ছল, বিধবা ও তালাক প্রাপ্ত নারীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।