শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন
টপ নিউজ::
পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লি. এর ভাইস চেয়ারম্যানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত সাতক্ষীরায় চাঁদার টাকা না দেওয়ায় মিথ্যে মামলার অভিযোগ সাতক্ষীরার আশা ব্রাঞ্চের গাভী পালনের প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল হয়েছেন গোলাম মাওলা নোয়াখালীতে আদালতে রায়; সাড়ে তিন বছর পর চেয়ারম্যান নির্বাচিত সারাদেশে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হলেন জামালপুরের ফারজানা ইসলাম পত্রিকায় সাইকেল চুরির খবর দেখে সাংবাদিককে জামায়াতের নতুন সাইকেল উপহার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিডার মতবিনিময় সভা ১৩ মামলার আসামিকে হত্যা করে সিএনজি যুগে বেগমগঞ্জে ফেলে দেওয়ার সময় আটক ২ নোয়াখালীতে প্রকল্পের মাটি বিক্রির অভিযোগ নাসিরনগরে যুবকের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

কোন পথে অর্থনীতির চাকা, ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কতটুকু

মোহাম্মদ আল এমরান / ৩২ বার
আপডেট সময় :: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ন

অর্থনীতির সুবাতাস পেতে যতই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে কিন্তু কেন জানি তার সুফলতা নিয়ে আসতে এখনও সময় নিচ্ছে অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট কলাকৌশলীরা। তাদের কোন কৌশলই মনে হয় কাজে আসছে না। দিন যাচ্ছে শুধুই কথার ফুলঝুড়ি শোনা যাচ্ছে। বাস্তবে অর্থনীতিতে সঠিক নীতিগত, আদর্শগত পরিবর্তন সাধিত হতে বেশ সময় লাগছে। বিগত সরকার দেশকে এতটাই পিছনে ঠেলে দিয়ে গেছে যা হতে কোনভাবেই কি উত্তোরণের পথ মনে হয় খুঁজে পাচ্ছে না বর্তমান সরকার। তাদের যাদুর কাঠি লাগবে মনে হচ্ছে। যে যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে অর্থনীতির এই দৈন্যদশা। পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে না পারলে কোন যাদুর কাঠি কি কাজে আসবে। মনে তো হয় না, কোন যাদুর কাঠি এমন বাস্তবতায় কাজে আসবে। এমন বাস্তবতায় দেশের অর্থনীতির পুরাটাই বুঝি নির্ভর করছে প্রবাসীদের উপার্জিত রেমিটেন্স, তৈরি পোশাক শিল্পের উপর। ফরেন রেমিটেন্স তো ভালই আসছে কিন্তু আমরা কি ফরেন রেমিটেন্স এর উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে শুধুই দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে থাকব।

এখন রিজার্ভ নিয়ে যে পরিমাণ আলোচনা হচ্ছে তাই আমরা সবাই রিজার্ভ বিষয়টি কি খুব ভালই বুঝতে পারছি। এমনকি একজন কৃষকের কাছেও এর উত্তর উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানীগুণী মানুষের চেয়ে ভাল পেয়েছি। খবরের পাতায় রিজার্ভ নিয়ে নিউজ করলে সেই নিউজ একটু আকর্ষণীয় করে ছাপা হলে সবার চোখও কিন্তু সেই নিউজটির দিকেই থাকছে। কারণ একটাই- আমাদের দেশে রিজার্ভ বাড়ছে না কমছে সেটা জানা আমাদের জন্য খুব জ্ঞানী মানুষের পরিচয় বহন করে। বিগত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন ক্ষমতা যদি ছাড়তে হয় তাহলে দেশকে সেই আগের অবস্থায় রেখে তারপরই ক্ষমতা ছাড়ব, যে কথা তাই কিন্তু তিনি করেছেন। ক্ষমতা ছাড়ার আগে রাতের আঁধারে টাকা ছাপিয়েছে সেই টাকাও পাচার হয়েছে যেমনটা সত্য; তেমনি বাস্তব সত্য প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয়, তার পিছনে কত টাকাই না ভারতের গোলায় ঢুকিয়েছে- সেটি বোধহয় শুধু ভারতে আশ্রয় নেয়া বিগত সরকারের নেতাকর্মীরাই জানে। দেশের ক্ষতি ক্ষমতার লোভে সবাই করেছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকাই যেন একমাত্র পন্থা, যার মাধ্যমে শোষণ, বৈষম্য নিপীড়ন করে দেশের সম্পদকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া হলো সরকারের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। দেশকে নিয়ে এখন আর বিত্তশালীদের কোন চিন্তা ভাবনা নেই, অবৈধ উপায়ে টাকা কামানোই তাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সাইপ্রাস, ইউরোপের দেশগুলোতে পাচারকৃত অর্থের কি হবে? এই অর্থ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে। আসলেই কি হয়েছে এই টাকা দিয়ে? প্রশ্নগুলো শিক্ষিত সমাজের জানা থাকলেও জানেনা দেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

বিগত সরকার আমলে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন দৃশ্যমান ছিল, সেই উন্নয়ন কিন্তু বেশির ভাগই সম্ভব হয়েছে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা ও চীনের ভূরাজনৈতিক কৌশলগত কারণে উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে অংশীদারিত্ব পার্টনার হিসেবে এগিয়ে আসার ফলে। এছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র বিনিয়োগ ও আইএমএফের ঋণ এবং বিশ্ব ব্যাংকের বিভিন্ন সহযোগী দাতা সংস্থার ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ঋণের নির্ভরতার উপর দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। বর্তমানে তেমনিই রয়েছে, পরিবর্তন শুধু কিছুটা আসছে সরকার ব্যবস্থাপনায়। জুলাই-গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্র-জনতা যে প্রাণ দিয়েছে তা কিন্তু বাস্তবতায় রূপ দিতে অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় অর্থনীতিতে সরকারের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে- যে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে দেশ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব কিন্তু জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার সীমা কোন নিয়ন্ত্রিত স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নয়, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সঠিক নিয়ম নীতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অর্থনীতিকে মজবুত পাটাতনের ভিত্তি স্থাপন করা আদর্শগত লক্ষ্য।

এজন্য আমাদের প্রয়োজন- সকলের ঊর্ধ্বে দেশ, দেশকে গড়ব; লুটপাট ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব- এ স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। লুটপাট ও দুর্নীতির থাবা যে কত শক্ত তা উপলদ্ধি করা যায় পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ দেখে। অর্থনীতির শ্বেতপত্রে প্রকাশিত হয়েছে- বাংলাদেশ হতে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তা কিনা ২৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা দিয়ে বিগত সরকার অন্ততপক্ষে ৫ টির অধিক বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে এই টাকা ব্যবহার করতে পারত। লাগামহীন লুটপাট ও দুর্নীতি বিগত সরকারের আমলে ঘটেছে এটা বাস্তবিক অর্থেই সত্যি- যেখানে শতকরা ৪০ ভাগ যেকোন প্রকল্প থেকে ও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বিগত সরকার। বিগত ১/১১ এর জেনারেল মঈন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের সরকার কিন্তু এ ধরনের অর্থ পাচাররোধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। বিগত বিএনপির (২০০১-২০০৬) আমলে পাচারকৃত অর্থ সফল কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ফিরিয়ে নিয়ে আনতে পেরেছিলেন। যার সুফলতায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিকভাবে সক্ষমতার ছোঁয়া দেখতে পেয়েছিল। বর্তমান জেনারেল ওয়াকার ও ড. ইউনুসের সরকার অর্থনৈতিক সুবাতাস ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে একটি শক্তিশালী মজবুত অর্থনীতির দেশে পরিনত করতে পারবে কি? হয়তো তা সম্ভব হবে যদি সৎ, সাহসী দৃঢ় আর্দশিক চিন্তা নিয়ে দেশের কল্যাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।

লুটপাট ও দুর্নীতির অর্থ কিভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে- এ সম্পর্কে পত্রিকায় অনেক খবর ছাপানো হয়েছে। এই লুটপাট ও দুর্নীতির অর্থ দিয়ে বিদেশে কিভাবে বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদেশী কোম্পানীর মালিক হয়েছে তাও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই লুটপাটের অর্থ ব্যক্তি বা পারিবারিক সম্পত্তি হিসাবে বিদেশে রয়েছে- যার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ আমাদের দেশের জিডিপি ও জিএনপি হিসেবে যুক্ত করা সম্ভব নয়, যদি এই অর্থের সাথে আমাদের দেশের মানব সম্পদকে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে যুক্ত করা না যায়। অর্থাৎ যদি বাংলাদেশ হতে পাচারকৃত অর্থ যে সকল দেশে পাচার হয়েছে, সেই সকল দেশের ঐ অর্থের উপর বাংলাদেশের কর্তৃত্ব স্থাপন না করা যায় তাহলে বিপুল পরিমাণ এই অর্থের মূল্যবান সম্পদ হতে কোন ধরনের সুবিধা আমাদের দেশ পাবে না। এজন্য লুটপাটের অর্থ পাচারকারীদের সাথে নেগোশিয়েশন করে এমন মতে পৌঁছতে হবে- যার মাধ্যমে বিদেশে ঐ সকল ব্যক্তির যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাতে আমাদের দেশের মানব সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে এবং লুটেরা কি পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন, সেই পরিমাণ অর্থের সমতুল্য মানের মানব সম্পদকে সেই দেশে তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

বিদেশে দক্ষ মানব সম্পদ পাঠিয়ে দেশে বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি করার আবশ্যকতা রয়েছে। আমাদের মত দেশ হতে যদি প্রতিবেশী দেশেও বিপুল পরিমান রেমিটেন্স যায় তাহলে দেশের রিজার্ভ আপনি কিভাবে ধরে রাখবেন? রেমিটেন্স যাওয়ার পথগুলোকে বন্ধ করা উচিত। প্রতিবেশী দেশ হতে আমদানীও কমিয়ে আনা উচিত। প্রতিবেশী দেশ ভারতে উৎপাদিত পণ্য আমাদের দেশেও উৎপাদন সম্ভব, যদি সুষ্ঠু বিনিয়োগ নীতির ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। পাকিস্তান হতে আমদানী প্রবনতার মাত্রা যোগ হয়েছে তাও আমাদের নিরুৎসাহিত করা উচিত। সরকারের এমন কিছু বিশেষ দপ্তর খোলা উচিত যে দপ্তর নিশ্চিত করবে সবচেয়ে কম মূল্যে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কোন কোন দেশ হতে পণ্য আমদানী করা যায়।

এখনও ব্যাংকগুলোতে অহেতুক নামে/বেনামে এলসি খুলতে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় এ বিষয়ে কোন নজরদারি নেই। আর্থিক খাতের অবস্থা এত খারাপ পর্যায়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ- ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম। বৈদেশিক বাণিজ্যের নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এলসির ডকুমেন্ট ব্যাংকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে পণ্যের মূল্য মানের উপর ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডি করা হচ্ছে যার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। আমদানী ও রপ্তানি পণ্যের উপর যদি বর্তমান সরকারের বিশেষ নজরদারি থাকে তাহলে দেশের অর্থ পাচার হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে বিভিন্ন ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য ইউনিট, শাখা ও বিভাগসমূহে সুশাসন নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা ও কঠোর নজরদারির মাধ্যমে আমদানীকৃত পণ্যের উপর এলসি খুলতে দেওয়া উচিত। রপ্তানিমুখী বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা ও পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করার প্রয়োজন রয়েছে। কোন কোন পণ্য আমদানী করা যাবে আর কোন পণ্য আমদানী করা যাবে না তা নির্ধারণ করে প্রতি বছর বাজেটের ন্যায় আমদানী ও রপ্তানি ব্যুরো হতে প্রকাশ্যে একটি তালিকা তৈরি করে সকল ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সেই তালিকা প্রেরণ করা উচিত। উৎপাদনমুখী পণ্য উৎপাদনে কৃষককে যত ধরনের সহযোগিতা দরকার তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন মনে করতে হবে। প্রকৃত কৃষকের তালিকা তৈরি করতে হবে, আমাদের কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনকে সম্মানী পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কৃষি নির্ভর অর্থনীতি ও গরীব মানুষদের জীবনযাত্রাকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন ও কৃষি নির্ভর যন্ত্রপাতি, কীটনাশক, সার, ডিজেল ও জ্বালানি সুলভ মূল্যে প্রকৃত কৃষককে সনাক্ত করে কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ করে দিতে হবে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃত সুবিধাভোগী নিশ্চিত না করে কৃষি ঋণ প্রদান করা হচ্ছে ফলে প্রকৃত কৃষক ঋণ পাচ্ছে না। সৎ, নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক সাহসী যারা দেশের মঙ্গল চায় এমন মানব সম্পদের হাতে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিলে উৎপাদনমুখী কৃষি ও রপ্তানিমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রসার অতি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশ অবস্থান সাউথ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে থাকা উচিত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একজন শ্রমিক যে দক্ষতা নিয়ে বিদেশে যাচ্ছে, সেই দক্ষতা তো আমাদের দেশের শ্রমিকদের থাকা উচিত। আমরা কেন একটি দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে পারব না। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি ছাড়া আমাদের সম্পদ সৃষ্টির অন্য কোন উপায় নেই। আামাদের দেশে তো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও সৌদি আরবের মত খনিজ সম্পদ নেই, যা দিয়ে আমরা বসে বসে খেতে পারব। দেশে বেকার যুবসমাজকে কাজে না লাগিয়ে এদেশের সার্বিক উন্নয়ন কোনভাবে সম্ভবপর হবেনা। যুব উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি অধিদপ্তরগুলোকে প্রশিক্ষিত মানব সম্পদে পরিনত করতে যত ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়া দরকার তা দেওয়া উচিত। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হতে একজন শ্রমিক যত সহজে বিদেশে যেতে পারে, আমাদের দেশ হতে তত সহজে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি হতে পারে না কেন? এ ব্যাপারে বায়রার লাইসেন্সগুলো সাবেক এমপি, মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনদের হাতে রয়েছে বলে অভিযোগ আছে ফলে তাদের ইচ্ছামত বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জনশক্তি রপ্তানিতে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যেখানে নেপালের মত দেশ হতে জনশক্তি রপ্তানিতে যে পরিমাণ ব্যয় হয়ে থাকে, সেখানে আমাদের দেশ হতে তার প্রায় তিনগুণ বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ বিষয়ে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিয়ে আসতে হবে। জনশক্তি হিসেবে দেশের মানুষ বিদেশে পাড়ি দিতে চাইলে তাকে সকল ধরনের সহায়তা করা উচিত।

এটি নিশ্চিত যে, আমাদের দেশ হতে যদি প্রতি বছর ৩৫-৫০ লক্ষ লোক বিদেশে জনশক্তি হিসেবে রপ্তানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাঁকা অতি সহজে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। জনশক্তি রপ্তানি ছাড়া কোন সম্পদই এদেশকে সমৃদ্ধির পথে পৌঁছে দিতে পারবে না।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
     12
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31      
   1234
567891011
2627282930  
       
293031    
       
       
       
    123
18192021222324
       
   1234
       
 123456
282930    
       
     12
3456789
31      
  12345
6789101112
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
       
  12345
6789101112
13141516171819
27282930   
       
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031     
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829 
       
  12345
6789101112
20212223242526
2728293031  
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930     
       
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!