শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
টপ নিউজ::
দূর্নীতি, অনিয়ম, গুম, খুন, চাঁদাবাজি করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না : অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন গুচ্ছগ্রামের পরিত্যক্ত ঘরেও স্থান হলো না গৃহহীন মমেনা বেগমের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান শেরপুর জেলায় ৩৪ টি কেন্দ্রে ১৪৯৭২ জন শিক্ষার্থী এইচ.এস. সি পরিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে আইসিএমএবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ মহুয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের কমিটি ঘোষণা: সভাপতি হামিদুল আলম সখা ও সা. সম্পাদক সুবোধ চন্দ্র ভৌমিক বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে দেশসেরা হয়েছেন জামালপুরের ফরহাদ হোসেন সারাদেশে নারী নির্যাতনের শিকার ১,৫৫৫ জন, ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে আ.লীগ নেতার মাকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুট নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গারো পাহাড়ে ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবের প্রস্তুতি

রিপোর্টারের নাম / ৬৬ বার
আপডেট সময় :: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

শেরপুরের গারো পাহাড়ে বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার’ তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই তীর্থোৎসবকে ঘিরে গারো পাহাড়সহ ময়মনসিংহ জুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর এই উৎসবে আসবে প্রায় লাখো পুণ্যার্থী। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

তীর্থ উৎসব কমিটির সমন্বয়ক ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, প্রার্থনা অনুপ্রেরণা, ফাতেমা রানীর মা মারিয়া, যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বাস করে। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে তীর্থ সম্পন্ন হবে।

তীর্থের আয়োজকরা জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে ১৯৪২ সালে ফাদার মার্কস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লী।

১৯৯৮ সালে বারোমারী মিশনকে ধর্মপল্লী ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশ। পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ৪২ একর জমি জুড়ে স্থাপন করা হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থ স্থান। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’র তীর্থ উৎসব। এবারও উৎসবকে ঘিরে গারো পাহাড়সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। তীর্থস্থানে আসা পুণ্যার্থীর জন্য পুরো স্থানটি সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও প্যান্ডেলসহ নানা কাজে ব্যস্ত আয়োজক ও শ্রমিকরা।

শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পুণ্যার্থী অংশ নিবেন এবারের তীর্থ যাত্রায়। তীর্থ উৎসবের মূল আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা। এ ছাড়া রয়েছে প্রার্থনা, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহা খ্রিষ্টযোগসহ নানা অনুষ্ঠান।

এবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা মহা ধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুপ্রত গমেজ।

নালিতাবাড়ী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, তীর্থ উৎসবে ৩০০ এপিবিএন পুলিশসহ জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো পল্লী থাকবে গোয়েন্দা নজরদারিতে।  এ ছাড়া উৎসব চলাকালে নজরদারি বাড়ানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!