ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার তেরটি ইউনিয়নের সর্বত্রই এখন মাদকে সয়লাব।
প্রতি ইউনিয়নেই চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
নাসিরনগরে মাদকের মধ্যে রয়েছে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, হিরোইন ও বাংলা চোলাই মদ।তেরটি ইউনিয়নের মাঝে সব চেয়ে বড় মাদকের স্বর্গ রাজ্য হল ধরমন্ডল,গোয়ালনগর,কুন্ডা, চাতলপাড়, ভলাকুট,হরিপুর। উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলোতেও তুলনা মুলক ভাবে মাদকের ছড়াছড়ি কম নয়।আর এ সমস্ত মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে এলাকার শিক্ষিত বেকার, তরুণ আর যুব সমাজ।টিনেজাররাও কিন্তু পিছিয়ে নেই।মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে অনেকেই আবার জড়িয়ে পড়েছে চুরি,ডাকাতির মত বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে।তাদের নিয়ে অভিভাবকরা ও এখন উদ্বিগ্ন। কিছু কিছু ভদ্রবেশী উঠতি বয়সী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা প্যান্ট শার্ট পড়ে পকেটে ১/২ শ ইয়াবা নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ন ষ্পটে ঘুড়ে ঘুড়ে বিক্রি করছে মরণনেশা ইয়াবা।কিন্তু তাদের দেখে কেউ বিশ্বাসও করতে পারবে না তারা মাদক ব্যবসায়ী।আবার কেউ কেই বড় বড় মাদকের চালান পাচার করছে। ৫ আগষ্টের পর থানা পুলিশের নিস্কৃয়তার সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ব অনেকাংশে বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে।
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে মাদকের বড় ধরনের স্পট।স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর মদদে চলছে এ মাদক স্পট অভিযোগ স্থানীয়দের।
অনেকেই আবার মাদকাসক্ত হয়ে মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে টাকার জন্য মা বাবাকে মারপিট করতে শোনা যাচ্ছে।নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইতি মধ্যে বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।অল্প সংখ্যক ছোট ছোট মাদকসেবীদের অনেক সময় আইনের আওতায় আনতে পারলেও বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীও রাগব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে।
প্রশাসন,সচেতন জনগণ ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিয্যতে মাদকের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বিজ্ঞ মহল।
মাদক সংক্রান্ত বিষযে জানতে চেয়ে নাসিরনগর থানার ওসি মোঃ খায়রুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি হয়তো ব্যস্ততার কারনে ফোন রিসিভ করেনি।
মুঠোফোনে মাদক নিয়ন্ত্রনে আপনাদের কোন উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার ওসি তদন্ত মোঃ হাসান জামিল বলেন,আমরাতো শুধু মাদক নিয়ে কাজ করি না।
মাদক নিয়ন্ত্রনের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয় অধিদপ্তর রয়েছে।আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়।তবে আমাদের কেউ তথ্য দিলে আর সাথে মাদক পেলে অবশ্য তাকে ধরে নিয়ে আসবো।তিনি বলেন গত কালওতো আমরা একজনকে ধরেছি।