সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
টপ নিউজ::
সরকারি প্রাথমিকে “মিড ডে মিল” (স্কুল ফিডিং) আপাতত হচ্ছে না, চালু হওয়ার আশ্বাস সেপ্টেম্বরে নকলার ইউএনও হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমকে পদায়ন দূর্নীতি, অনিয়ম, গুম, খুন, চাঁদাবাজি করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না : অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন গুচ্ছগ্রামের পরিত্যক্ত ঘরেও স্থান হলো না গৃহহীন মমেনা বেগমের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান শেরপুর জেলায় ৩৪ টি কেন্দ্রে ১৪৯৭২ জন শিক্ষার্থী এইচ.এস. সি পরিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে আইসিএমএবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ মহুয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের কমিটি ঘোষণা: সভাপতি হামিদুল আলম সখা ও সা. সম্পাদক সুবোধ চন্দ্র ভৌমিক বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে দেশসেরা হয়েছেন জামালপুরের ফরহাদ হোসেন সারাদেশে নারী নির্যাতনের শিকার ১,৫৫৫ জন, ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন

সরকারি প্রাথমিকে “মিড ডে মিল” (স্কুল ফিডিং) আপাতত হচ্ছে না, চালু হওয়ার আশ্বাস সেপ্টেম্বরে

সোহেল রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার / ২৬ বার
আপডেট সময় :: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৫:০২ অপরাহ্ন

চলতি মাসেই ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরের খাবার হাতে পাওয়ার কথা ছিল দেশের ৮ বিভাগের ১৫০ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখেরও বেশি শিশু শিক্ষার্থীর। কিন্তু টেন্ডারটি চালু করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই মিড ডে মিল চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের ৮ বিভাগের ৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবে।

এ প্রকল্পটি চলবে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি সফল হলে সারা দেশের স্কুলগুলোয় মিড ডে মিল চালু করা হবে। প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও যুগ্মসচিব হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি আগামী সেপ্টেম্বরে চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্নে আমরা কাজ করছি। অক্টোবরে টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীদের হাতে খাবার পৌঁছাতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য তুলে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। এটি নিশ্চায়ন জরুরি। তাই সবদিক খেয়াল রেখে আমরা এগোচ্ছি। সব প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।

প্রকল্পে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয়ই বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি।

এই দিয়ে স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, ইউএইচটি দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট এবং মৌসুমি ফল বা কলা।

সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশন করা হবে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। সোমবার বনরুটি ও দুধ এবং বুধবার মিলবে ফরটিফাইড বিস্কুট ও মৌসুমি ফল বা কলা। প্রতিটি বনরুটির ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ গ্রাম, প্রতিটি ডিম ৬০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, বিস্কুট ৭৫ গ্রাম ও ফল ১০০ গ্রাম।

এদিকে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্কুল ফিডিং মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকসহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণও গুরুত্ব পাচ্ছে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন করা হবে ১৯২টি ব্যাচে ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। অংশ নেবেন প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!