বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
টপ নিউজ::
শেরপুরে ঝগড়ারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২ কোটি টাকার ক্ষতি সাবেক সাত মন্ত্রী এক বিচারপতি সহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব নকলা হাসপাতালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাসিক সমন্বয় সভা আওয়ামী দোসরদের নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখলের চেষ্টা, ১০ সাংবাদিক আহত নোয়াখালীতে ১০ বছরের ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে বানিয়াগাঁতী স্কুল এন্ড কলেজে  বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাটি কাটার গাড়ি জব্দ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাতে ২২১০০ পিস ইয়াবাসহ ১ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক সুবর্ণচরে বিধবাকে গণধর্ষণ, পলাতক আসামী গ্রেপ্তার ১ মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ধর্ষণের শিকার, এলাকায় উত্তেজনা

খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ, শিক্ষার্থী না থাকলেও চলছে সরকারি বই উত্তোলন

মোঃ আবুল কালাম আজাদ, রৌমারী প্রতিনিধি / ৩০ বার
আপডেট সময় :: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অচল ও বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় থাকলেও প্রতি বছর এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি বই উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে নেই কোনো শিক্ষার্থী, নেই ক্লাস কার্যক্রম। ভবনের ভেতরে জমে আছে শুধু খড় । বিদ্যালয়ের বারান্দায় রাখা ভুট্টার বস্তা আর দরজায় ঝুলছে বড় তালা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক নেই। অথচ নিয়মিতভাবেই ভূয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে নতুন বই উত্তোলন করা হচ্ছে। বইগুলো কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হদিস মিলছে না রয়েছে নানা গুঞ্জন।

রৌমারী খেদাইমারী বিদ্যালয়ের মেঝেতে খড়েরর স্তুপ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৪ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। পরে ২০১৫ সালে এলাকাবাসীর সহায়তায় এটি নতুনভাবে স্থাপন করা হয় খেদাইমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। তার পর থেকেই শুরু হয় নেতৃত্বের বিভিন্ন দ্বন্দ্ব।

বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, ২০০৬ সাল থেকে তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন তবে, মো. আব্দুল ওহাব মন্ডল নামের এক ব্যক্তি নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নতুন জনবল কাঠামো দাখিল করেছেন। তার পর শিক্ষক ও দপ্তরিদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশে বাধা দিচ্ছেন নিয়মিত।

দাবিকৃত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল ওহাব মন্ডল বলেন, তিনি স্কুল পরিচালনা করে আসছেন এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১৩০ সেট বই উত্তোলন করেছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা অনীহা প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম বলেন, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি। শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও বই কেন উত্তোলন করা হয়েছে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে সরেজমিন তদন্ত করা হবে। সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করছি।”

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দ্বন্দ্ব নিরসন করে বিদ্যালয়টি পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
যাতে এলার গরিব ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়া আবার শুরু করতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!