জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের দারিদ্র্য হ্রাসকরণে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ১৩ মে ২০২৫ মঙ্গলবার পিকেএসএফ ভবন-এ অনুষ্ঠিত ৪র্থ যৌথ সমন্বয় কমিটি (JCC) সভায় ইনক্লুসিভ রিস্ক মিটিগেশন ফর সাসটেইনেবল প্রজেক্ট (IRMP) প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনাকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের, তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য বীমা সেবা নিশ্চিত করতে নতুন কৌশল উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল নিম্ন আয়ের মানুষের ঝুঁকি লাঘবে আয় ক্ষয় রোধ করা। মানুষ যখন এ ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকে, তখন তাদের আয় টেকসইভাবে বৃদ্ধি পায়।” তিনি আরও বলেন, ঝুঁকি কমানোর জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা হলো মানুষের আচরণগত পরিবর্তন, এ ক্ষেত্রে তিনি নাজ থিউরি ব্যবহার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নিম্ন আয়ের মানুষের ঝুঁকি নিরসন ও বীমা কার্যক্রমকে একটি টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাইকার সহায়তা কামনা করেন।
জাইকা ঢাকা অফিসের প্রধান প্রতিনিধির বিশেষ উপদেষ্টা Mr. Kiyoshi Amada, পিকেএসএফ-এর মাঠ পর্যায়ে কাজের ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “পিকেএসএফ-এর মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান অত্যন্ত মূল্যবান। জাইকা পিকেএসএফের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে পিকেএসএফ-এর পরীক্ষামূলক ক্ষুদ্র বীমা মডেল অন্যদের জন্য অনুসরণযোগ্য হতে পারে।
ভার্চুয়ালি জাপান থেকে সভায় যোগ দেওয়া জাইকা সদর দফতরের Gender Equity & Poverty Reduction বিভাগের পরিচালক Ms. Komahashi Rie পিকেএসএফ এবং তার সহযোগী সংস্থার দক্ষতাপূর্ণ কাজের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাইকা IRMP প্রকল্পের অধীনে আরও সহযোগিতা করার জন্য আগ্রহী।” তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন IRMP প্রকল্পের টিম লিডার Mr. Yojiro Fujiwara।
সমাপনী বক্তব্যে মোঃ ফজলুল কাদের বলেন, পিকেএসএফ তার মূল স্রোতের কার্যক্রমগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। তিনি আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের ঝুঁকি হ্রাসকণে বীমা সেবার শিক্ষার আলোকে আগামীতে আমাদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, IRMP প্রকল্প প্রিসিশন এগ্রিকালচার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যা ঝুঁকি কমানোর উপকরণ হিসেবে কাজ করবে এবং পরিবেশগত ও জলবায়ু ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, জাপানের প্রিসিশন এগ্রিকালচার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ইকোলজিকাল ফার্মিং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।