শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে মো. জাহাঙ্গীর আলম-কে পদায়ন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে সুবিধাজনক যেকোন দিন নকলায় তিনি কাজে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন সদ্য পদায়নকৃত ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপ জন মিত্র-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
তথ্য মতে, মো. জাহাঙ্গীর আলম ৩৬তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০২১ সালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ন্যাস্ত পূর্বক নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে বদলী করা হয়। সেখানে ২০২১ সালে থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সর্বসাধারনের মনে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন।
অত:পর ২০২৪ সালে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ন্যাস্ত পূর্বক জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) হিসেবে পদায়ন করা হয়। সেখানে কিছুদিন সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তাকে ইউএনও হিসেবে পদায়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ন্যাস্ত করা হয়। সেখানে তিনি উপপরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) হিসেবে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন।
সর্বশেষ চলতি মাসের ২ তারিখে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ-এঁর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে পদায়ন করা হয়। চলতি সপ্তাহের যেকোন সুবিধাজনক দিন তিনি কাজে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন সদ্য পদায়নকৃত নকলা ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরে সম্ভাব্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বীপ জন মিত্রকে বিদায়ী শুভেচ্ছা এবং অনাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আগাম অভিনন্দন জানাতে ও বরণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নকলা উপজেলাবাসী। এরইমধ্যে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের নিজ নিজ টাইম লাইনে ও ফেসবুক বিভিন্ন গ্রুপে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে উপজেলাবাসীর চাওয়া-পাওয়া সংশ্লিষ্ট লেখা পোস্ট করেছেন। মেধা, সততা, বিচক্ষণতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দক্ষতা-অভিজ্ঞতার অপূর্ব সংমিশ্রণে সবাইকে সাথে নিয়েই নিজের কর্মস্থল নকলা উপজেলার জনগণকে সার্বিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ও উন্নয়নের মডেল উপজেলা হিসেবে নকলাকে দেশব্যাপি পরিচিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।