মাগুরা শহরের ভায়নার মোড় সমূহের মধ্যে একটি। মহাসড়কের অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ভায়নার মোড়। মাগুরা শহরের ব্যস্ততম একটি সড়ক ঢাকা , খুলনা, ঝিনাইদহে রোড। সেখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ভায়নার মোড়, যেখান থেকে একদিকে ঢাকার রাস্তা, বিপরীত দিকে যশোর মুখী সড়ক। আরেকদিকে ঝিনাইদহে গামী সড়ক এবং তার উল্টো দিকে মাগুরা শহর । এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় লাখো মানুষ। অথচ এই বিশাল সড়ক পারাপারের জন্য নেই কোনো ফুট ওভারব্রিজ। প্রতি নিয়তে ভোগান্তিতে পড়ছে এই সড়কে চলাচলকারীরা। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক পার হতে হচ্ছে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারে এখানে কোনো জেব্রা ক্রসিংও নেই। রাস্তা পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকাই পথচারী সাধারণ মানুষ এলাকার ছাত্র ছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ত এই মহাসড়ক পার হতে হয়, যার কারণে অনেকেই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সম্প্রতি মাগুরা ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড এলাকার রাস্তায় একটি মর্মান্তিক রোড এঙিডেন্টে একজন নিহত হয়েছেন এর আগে । এই ঘটনার পর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য একটি ফুট ওভার ব্রীজের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
পথচারী পারাপারের জন্য যথাযথ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন মাগুরা জেলা বাসিন্দারা।
ফুট ওভার ব্রীজ স্থাপন করা হলে, পথচারীরা সহজেই রাস্তা পার হতে পারবেন। এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগী জানান, এ সড়ক দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কেউ প্রাণ হারিয়েছেন, অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। কিন্তু মাগুরা জেলা ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড একটি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের গুরুত্ব দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের ব্যস্ততম স্থান উত্তরে মাগুরা শহর এলাকা। প্রতিটি মুহূর্তে দেশের পশ্চিম অঞ্চলের বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ সব ধরনের যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
আর ব্যস্ততম সড়কের পাশেই রয়েছে দক্ষিণ দিকে যশোর, পূর্বে ঢাকার রোড, মাগুরা শহরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বসবাস করে। এছাড়া এ এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড সংলগ্ন সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ চলন্ত বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের সামনে হাত উঁচু করে যানবাহনের গতি কমিয়ে পারাপার হয়। এ কারণে এ মহাসড়কে প্রতিটি মুহূর্তে যানবাহনকে আটকে পারাপারের কারণে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ যানজট মাগুরা শহরের ভায়নার মোড় থেকে শহরের কলেজ রোড পর্যন্ত ছাড়িয়ে চৌরঙ্গী পর্যন্ত যায়। এ যানজটের প্রভাব শহর ছাড়িয়ে যায়। এমনকি শহরের এলাকার সব সড়কে ছড়িয়ে পরে।
স্থানীয় বাসিন্দা শম্পা বসু বলেন, মাগুরা সরকারি কলেজ, মাগুরা আদর্শ কলেজ , মহিলা কলেজ, সরকারী মডেল স্কুলসহ শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততম সড়ক পারাপার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়েছে। এখানে ও ঢাকার রোড একটি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে দাবি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত দাবি রাখছি সাধারণ মানুষের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে জন্য ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড ফুট ওভার ব্রিজ স্থাপন করা হোক।
এ দিকে শহর জুড়ে তীব্র যানজট মাগুরা শহরের প্রাণকেন্দ্র ভায়না মোড় ও ঢাকার রোড সব সময় দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ঠ পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। কোন ভাবেই যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন মাগুরা বাসী।
ইজিবাইকের জন্য ভায়নার মোড় তীব্র যানজট হয়। এ দিকে ব্যস্ততম সড়কেই যত্রতত্র ভাবে গাড়িগুলো রাখা হচ্ছে। চালকরা যত্রতত্র ভাবে গাড়ী পার্কিং করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ।
জরুরী প্রয়োজনে জেলা উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে শহরে আসলে শহর জুড়ে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
পথচারী রিপা খানম বলেন, ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড একটি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে দাবি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত দাবি রাখছি সাধারণ মানুষের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে জন্য ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড ফুট ওভার ব্রিজ স্থাপন করা হোক।
এ বিষয়ে মাগুরা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ আরজু হোসেন বলেন, মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কটি খুবই ব্যস্ততম। মাগুরা ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ পারাপার হয়। চলন্ত বাস, ট্রাক এর সামনে হঠাৎ হাত দিয়ে পথচারীরা দৌড় দেয়। এতে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।, অপরদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে ভায়নার মোড় ও ঢাকার রোড এ রোড ডিভাইডারের উপরে বেরিকেডসহ একটি করে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।