জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিএনপি নেতা আলী হোসেনের মালিকানাধীন একটি গুদাম থেকে ১০৪ বস্তা সরকারি ভিজিডি চাল উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। ২০মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিচালিত এক অভিযানে এসব চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত চালের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ২০০ কেজি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এ ঘটনায় রাতেই অবৈধ মজুত ও কালোবাজারির অভিযোগে অভিযুক্ত আলী হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও জানা যায় গুদাম মালিক মো. আলী হোসেন সরিষাবাড়ী পিংনা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং বাসুরিয়া গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে। সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুদের ঘটনায় অভিযুক্ত আলী হোসেন পলাতক আছেন।
পুলিশ সূত্রটি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা রিছিল এবং সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট শাহারিয়া তালুকদার রিফাত। অভিযান চলাকালে আলী হোসেনের মালিকানাধীন গুদাম থেকে সরকারি ভিজিডি কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত সরকারি সিলযুক্ত ৫০ কেজির ১০৪টি বস্তা পাওয়া যায়। যেখানে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে প্রায় ৫ হাজার ২০০ কেজি চাল রয়েছে। উদ্ধার হওয়া চালের বস্তা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা রিছিল গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করে তা কালোবাজারিতে বিক্রির উদ্দেশ্যেই গুদামে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা চালগুলো জব্দ করেছি এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল হাসান সাংবাদিকদেরকে বলেন, উদ্ধার করা চালগুলো পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত আলী হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সরিষাবাড়িতে বিএনপি নেতার এরূপ নেতিবাচক কাজে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।