শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
টপ নিউজ::
দূর্নীতি, অনিয়ম, গুম, খুন, চাঁদাবাজি করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না : অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন গুচ্ছগ্রামের পরিত্যক্ত ঘরেও স্থান হলো না গৃহহীন মমেনা বেগমের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান শেরপুর জেলায় ৩৪ টি কেন্দ্রে ১৪৯৭২ জন শিক্ষার্থী এইচ.এস. সি পরিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে আইসিএমএবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ মহুয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের কমিটি ঘোষণা: সভাপতি হামিদুল আলম সখা ও সা. সম্পাদক সুবোধ চন্দ্র ভৌমিক বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে দেশসেরা হয়েছেন জামালপুরের ফরহাদ হোসেন সারাদেশে নারী নির্যাতনের শিকার ১,৫৫৫ জন, ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে আ.লীগ নেতার মাকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুট নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

ভালো নেই ঝিনাইগাতীর গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা

রাদ শাহ জাবাল , ঝিনাইগাতী, শেরপুর / ৮৮ বার
আপডেট সময় :: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

ভালো নেই শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসীন্দারা। অভাব অনটন দুঃখ আর দুর্দশাই এ গুচ্ছ গ্রামের বাসীন্দাদের নিত্য সঙ্গী।

জানা গেছে, ২০১২ সালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামে নির্মাণ করা হয় এ গুচ্ছ গ্রামটি। বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট সিভিআরপি প্রকল্পের মাধ্যমে এ গুচ্ছ গ্রামটি নির্মান করে উপজেলা প্রশাসন। এগুচ্ছ গ্রামটিতে ৩০ টি ভুমিহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

পুনর্বাসনকৃত ৩০ টি পরিবারে ছোট- বড়, নারী- পুরুষ, শিশুসহ বর্তমানে প্রায় ২ শত লোকের বসবাস। এগুচ্ছ গ্রামের বাসীন্দারা সবাই দিনমজুর। কয়েকজন ভিক্ষুক, রিক্সা চালক ও রয়েছে।

গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক জুনাব আলীসহ অন্যান্য গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিবারগুলোর মাথাগোঁজার ঠাঁই হলেও সরকারিভাবে তাদের জন্য করা হয়নি কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। এখানের বাসিন্দারা একদিন কাজে না গেলে সেদিন তাদের ঘরে চুলা জ্বলে না। সেদিন তাদের থাকতে হয় অনাহারে অর্ধাহারে। তাদের ভাগ্যে জুটেনা ভিজিডি কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ সরকারি অন্যান্য কোন সাহায্য সহায়তা। চলতি শীত মৌসুমে ছিন্নমূল এ গুচ্ছগ্রামের শীতার্তদের ভাগ্যে জুটেনি একটি কম্বলও।

ফলে গত একযুগ ধরে এ গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছেন চরম বিপাকে।শুধু তাই নয় গত একযুগ পুর্বে নির্মিত ঘরগুলো সংস্কারের অভাবে প্রায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। গুচ্ছ গ্রামটি নির্মাণের সময় দায়সারাগুছের একটি পুকুর খনন করা হয়। এতে শুষ্ক মৌসুমী পানি থাকে না। এ পুকুরের পানি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা গবাদিপশু,সবজি খেতে ব্যবহারসহ গৃহস্থলির নানা কাজে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু পুকুরটি খননের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। সন্ধ্যাকুড়া বর্ডার রোড় থেকে গোমড়া গুচ্ছ গ্রামে যাতায়াতের প্রায় দুই কিলোমিটার মান্ধাতার আমলের কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গোমড়া গ্রামে উৎপাদিত কৃষি পণ্য, বনবিভাগের সামাজিক বনের কাঠ সরবরাহ, সীমান্তে বিজিবির টহল কার্যক্রমসহ গ্রামবাসীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা গুচ্ছ গ্রামের সমস্যাগুলো জরুরি ভিত্তিতে সমাধানের আহ্বান জানান।

এবিষয়ে নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি গুচ্ছগ্রামের সমস্যাগুলো দেখবেন বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন সন্ধ্যাকুড়া – গোমড়া কাঁচা দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ইটের ছলিং নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!