‘বাধন এখনো আছে প্রাণে প্রাণে ‘ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের এসএসসি ৮৯ ব্যাচের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ জুন (সোমবার) শেরপুরের মডেল গার্লস কলেজে ছিল এ আয়োজন।
ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে এসএসসি ৮৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শেরপুর মডেল গার্লস প্রাঙ্গনে মিলিত হন। এরপর সবাই কলেজ প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরপর তারা আলোচনা সভায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৈয়দ আদিল রূপস, শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, শেরপুর জেলা বারের পিপি আব্দুল মান্নান, পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির), আমেরিকা থেকে যুক্ত হন প্রবাসী আবুল হাশেম, শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স স্টুডেন্ট সেন্টার (TSC) এর ডেপুটি রেজিস্টার নজির আহমেদ সিমাব, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম শিপন, মনিরুল ইসলাম মিলন, মনোয়ার, বিপ্লব নাগ, বিপুল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, বিনয় কুমার সাহা, মিল্টন, আরিফ, মামুন, আবুল কাশেম, আমিনুল, রিয়াজুল ইসলাম মঞ্জু, আলতাফ হোসন, গৌতম সাহা, প্রকৌশলী কবির, রওশন শারমিন, শিল্পি সাহা,এমিলি, ইরাসহ প্রমুখ।
ডা. সৈয়দ আদিল রূপস বলেন, “আজকের এই মিলনমেলা শুধু স্মৃতির খোরাক নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য আমাদের বন্ধুত্ব ও সহানুভূতির ভিত্তি রচনার একটি সুযোগ। বন্ধুর কষ্টে এগিয়ে আসার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”
ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, “এই বন্ধনের শক্তি আমাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে সাহস যোগায়। আজকের দিনটি প্রমাণ করে আমরা শুধু সহপাঠী নই, আমরা একটি পরিবার।”
শাশ্বত মনির বলেন, “আজকের পুনর্মিলনী শুধু আত্মিক মিলনের জায়গা নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও ধারণ করে। ব্যাচ ভিত্তিক এই সংহতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা শক্তিশালী বার্তা বহন করে—যেখানে বন্ধুত্বের পাশাপাশি দায়িত্ববোধও থাকে।”
মাসুদ হাসান বাদল বলেন, “আমরা অনেকেই হয়তো মিডিয়াতে, চিকিৎসায় বা অন্য পেশায় ব্যস্ত থাকি, তবে এই বন্ধুত্বের ডাকই আমাদের একত্র করে। এসএসসি ৮৯ ব্যাচ আজ সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এ ধরনের আয়োজনে শুধু আনন্দ নয়, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার শক্তি লুকিয়ে থাকে। আজ আমরা সেটাই প্রমাণ করেছি।”
নজির আহমেদ সিমাব বলেন, এই ব্যতিক্রমী আয়োজন নতুন প্রজন্মের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। শিক্ষাজীবনের বন্ধুত্ব যদি টিকে থাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, সেটাই মানবিকতার আসল পরিচয়।”
আলোচনা সভায় ৮৯ ব্যাচের অসচ্ছল বন্ধুদের কল্যাণে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়।
ডা. সৈয়দ আদিল রূপস এর কন্ঠে ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’ সহ বিভিন্ন গানে সবাই উচ্ছ্বাসিত হন।
সংগীত পরিবেশন, র্যাফেল ড্র ও নৈশ ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।