ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক তিনটি অভিযানে প্রায় এক হাজার নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশন, হেরোইন এবং ইয়াবা উদ্ধার, ১৫টি মামলার আসামী সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভালুকা ক্যাম্প ও মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (২৩জুন) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম।
জানা যায়, রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বাকসাতরা মোড় বাজারের চায়ের দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে মো. আতিকুর রহমান (৩৫) কে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করে মডেল থানার পুলিশ। আতিকুর রহমান, মেদুয়ারী গ্রামের মৃত সিরু মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত হেরোইনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে আরও ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।
অপর দিকে রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর ব্রিজের ঘাট এলাকার আনন্দ-সাব্বির অটো ওয়ার্কশপের সামনে থেকে মো. মনিরুজ্জামান (৩০) কে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। মনিরুজ্জামান মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার তেপান্তর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে জামালপুর গামী রাজিব পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ১৪-১৫৭৪) একটি বাসে তল্লাশি করে প্রায় এক হাজার নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশন যার মুল্য (২ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা) সহ ১৫ টি মামলার আসামী ফারুক মিয়াকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটককৃত মোঃ ওমর ফারুক নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাটলি গ্রামের মোঃ আব্দুল হাকিমের ছেলে। পরে তিনটি ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করে আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, মোঃ ওমর ফারুক বিরুদ্ধে আজকের মামলা সহ মোট ১৫টি রেকর্ড পাওয়া গেছে এবং আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে পূর্বে আরও ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।