- - https://dailyjogajog.com -

বিটিএমএ- এর উদ্যোগে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের সংকটাবস্থার উপর বিশেষ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর উদ্যোগে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের সংকটাবস্থার উপর বিশেষ এক সংবাদ সম্মেলন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার দুপুর- ঢাকার গুলশান ক্লাবের ক্রিষ্টাল হলে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপত্বি করেন বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামীম ইসলাম, মোঃ আবুল কালাম এবং মোঃ সালেউদ জামান খান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল বলেন দেশের টেক্সটাইল সক্টর র্দীঘদনি যাবত বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এর মধ্যে গ্যাস ও বদ্যিুতরে মূল্য বৃদ্ধি ডলাররে সংকট, ব্যাংক সুদরে হার ১৮% র্পযন্ত বৃদ্ধি এলডিসি গ্র্যাজুয়শেনরে র্শতাবলী পূরনের অজুহাতে রপ্তানরি বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবকি হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নরে কারনে ওর্য়াকিং ক্যাপিটালের সংকট ইত্যাদি বিশেষ ভাবে উল্লখেযোগ্য। টেক্সটাইল শিল্পের উল্লিখিত সমস্যাবলী ছাড়াও ভারত থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর/কাস্টমস হাউজ ব্যবহার করে ডাম্পিং মূল্যে সুতাও কাপড় স্থানীয় বাজারে প্রবেশের ফলে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের চ্যালঞ্জে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। টেক্সটাইল সেক্টর বিগত ৩ বছরের ও বেশী সময় ধরে জ্বালানি সংকটরে জন্য স্বাভাবকি উৎপাদন র্কাযক্রম পরিচালনা করতে পারছে না । বিগত কয়েক মাস যাবত তীব্র গ্যাস সংকটের কারনে মিলগুলি তাদের উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০-৫০% এর বেশী ব্যবহার করতে পারছে না।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে বাংলাদশেরে টেক্সটাইল শিল্পের প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা ব্যাপকভাবে কমিয়ে এ শিল্পের যেভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে এ শিল্প অচরিইে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবে । বিগত সরকাররে ভুল পলিসির কারনে এই শিল্পকে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে এই দেশকে আসলে বিদেশী বাজারে পরিনত করা হয়েছে । স্থল বন্দর ব্যবহার করে সুতা আমদানি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিদেশী সূতার উপর আমদানি নির্ভরশীলতা বেড়ে যাচ্ছে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

বিটিএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালউেদ জামান খান বলেন যে ভারত প্রতি কিলোগ্রাম সুতাতে ১১ রুপি র্ভতুকি দিচ্ছে যা রাষ্ট্রীয়ভাবে ডাম্পিং কে সহায়তা করছ। তিনি বলেন বাংলাদেশের পোশাক কারখানা গুলো সুতার দাম কম হওয়ায় লাভবান হচ্ছে না, শেষ অবধি এর সুবধিা যাচ্ছে বিদেশী ক্রেতাদের কাছ।

বিটিএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামীম ইসলাম গ্যাসের দাম ইউনটি প্রতি ২০ টাকার নিচে নামানোর দাবি জানিয়ে বলেন, চলমান গ্যাস সংকটরে কারণে মিলগুলো মাত্র ৫০%-৬০% ক্ষমতায় চলছ।

বিটিএমএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আবুল কালাম বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য সুদের হার একক অঙ্কে নামিয়ে আনার দাবি জানান এবং আগামী 0৩ বছররে জন্য সুদরে হার এক অঙ্কে স্থির করার আহ্বান জানান।

বিটিএমএ’র পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব হায়দার বলেন মাটির নিচের গ্যাসের মজুদ থাকা সত্বওে এলএনজি আমদানি কার র্স্বাথে করা হচ্ছ? এলএনজি আমদানির ওপর র্নিভর করে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস্ শিল্প টিকে থাকতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সর্তক করে তিনি বলনে, ৭৫ টাকায় গ্যাস দিয়ে কারখানা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ব।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ’র পরিচালক মোঃ মনির হোসেন, সৈয়দ এনায়েত কবির, মুহা. খোরশেদ আলম, মোঃ মাসুদ রানা, প্রকৌশলী রাজীব হায়দার, প্রকৌশলী ইসতেহাক আহমেদ সৈকত, বিএম শোয়েব, মোঃ শাহিদ আলম, আজিজুর আর চৌধুরী, প্রকৌশলী সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও মোঃ আজাহার খান এবং হোসেন হোসেন মেহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।