ভার্চুয়াল জগতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
রোববার (১৮ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিসেবা রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন উদ্বেগ জানানো হয়।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ন্যাপ মাহসচিব এম গোলাম মোস্তাফা ভূঁইয়া, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাদের আলমাস, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া ও লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যেসব আইন নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার এবং পরিবার বা সমাজের নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করে সেসব আইন বাতিল হবে এটা সাধারণ নাগরিকদের চাওয়া ছিল। কিন্তু গত ১০ মাসেও কেন এসব আইনগুলো বাতিল হলো না এসব ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই।
সাইফুল হক বলেন, ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে আমাদের নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কোনো সময় যে কোনো ইস্যুতে কোনো মানুষকে ইচ্ছা করলে সাইবার বুলিং করে তার চরিত্র হনন করতে পারে। যারা এসব কাজগুলো করছেন তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো নাগরিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করছে সেগুলো চিহিৃত করে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আমরা সবাই দেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ সেবার মান উন্নয়নের কথা বলি। এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যরা জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলেন তাদের কণ্ঠরোধ করার নতুন কৌশল সৃষ্টি হয়েছে, এটা খুবই দুঃখজনক।
লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গত ৮/৯ মাস ধরে শুনছি ইন্টারনেটের দাম কমছে, উন্নয়ন হচ্ছে, বাস্তবে কিছুই নেই।
দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, এই সরকারকে আমরাই মেন্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছি। তারা অঙ্গিকার করেছিলেন বিবর্তনমূলক সব কালাকানুন বাতিল করবেন। কিন্তু ৯ মাসেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার নিরাপত্তা আইন কোনটাই বাতিল হয়নি। বরং নতুন করে গণমানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার কলকৌশল শুরু হয়েছে।
আলোচনা সভায় আইসিটি ও টেলিকম খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, স্টেইকহোল্ডার ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।