- - https://dailyjogajog.com -

বেলকুচিতে মসজিদের কাজকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষে সংঘর্ষ; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪৩ দিন পর কুলছুমের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ২নং রাজাপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড নাগগাঁতী দক্ষিণপাড়া গ্রামে মসজিদের মানোন্নয়নের কাজকে কেন্দ্র করে নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ঐ গ্রামের আব্দুর রহমান, শাহ আলম, ছোলেমান, হালিম শেখ ও আব্দুল আজিজ গংদের বিরুদ্ধে। আহত নারী কুলছুম খাতুন ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪৩ দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে, এঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক অবস্থায় দুপক্ষের সংঘর্ষে দু’পক্ষই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, পক্ষান্তরে আব্দুর রহমান ও আজিজ গং প্রভাবশালী হওয়ায় রফিকুল গংদের দফায় দফায় মারপিট করে রফিকুল ইসলাম এর বাবা মজিদ শেখ এর হাত ভেঙে দিয়েছে ও তার ভাইদের দাড়ালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে, নিহত কুলছুম খাতুন নাগগাঁতী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী, নিহত কুলছুম খাতুনের ১৩ বছর বয়সী মারিয়া খাতুন ও ৭ বছর বয়সী মায়শা খাতুন নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে, নিহত কুলছুমের লাশ ঢাকা থেকে বাড়ীতে আনতেই তার পরিবার আত্মীয় স্বজন ও দুই মেয়ের কান্নার আহাজারিতে যেন আসমান জমিন কেঁপে উঠেছিল, তাদের চোখ মুখের দিকে তাকাতেই সবার চোখের কোণে পানি আর কিছু সময় সবাই স্তব্ধ হয়ে পরেছিল, কুলছুমের এই অকাল মৃত্যু কেউ মানতেই পারছিল না। নিহত কুলছুম খাতুন মামলার ২নং আসামি শাহ আলমের হাতে দাড়ালো অস্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে, এমন নিঃসংশ হত্যা কান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কুলছুমের নির্মম হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী। এঘটনায় নিহত কুলছুমের স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে অন্যপক্ষ আব্দুর রহমান গংদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন তথ্য জানা যায়নি। তবে মেসেজ করে জানানো হয়েছে এটা আমরা গ্রামের ময়মুরুব্বিদের মাধ্যমে মিমাংসা করে নিবো।

এঘটনায় বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন জানান, নাগগাঁতী দক্ষিণ পাড়া দুপক্ষের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে, ঐ ঘটনায় পরে রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা করে, মামলার তদন্ত চলনান রয়েছে এমতাবস্থায় রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী কুলছুম খাতুন ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, যেহেতু সেই মামলার ভিকটিম আমরা এই মামলার তদন্তে ৩০২ দারা সংশোধন করে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবে বলে জানান তিনি।