শেরপুর সদর কামারিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ এর সভাপতি মোঃ শামিম মিয়া সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ২৪-১০-২০২৪ ইং তারিখে মোছাঃ শিরিন বেগম (২২) বাদী হয়ে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এ ৯/(১)-৯(৩)/৩০ এ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব ১৪ জামালপুর যানায় এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা য়ায় যে,আসামীগণ ভিকটিমের স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ভিকটিমের বাড়ীতে এসে প্রায় প্রায় ভিকটিমের সহিত অবৈধ ভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য কু-প্রস্তাব দিত এবং ভিকটিমকে অর্থের লোভ লালসা দেখাইত।
এরই প্রেক্ষিতে, গত ২৩/০৯/২০২৪ খ্রি. দুপুর অনুমান ২:০০ ঘটিকার সময় শেরপুর জেলার সদর থানাধীন তারাকান্দি সাকিনস্থ বাদীর নিজ বসত ঘরে আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান (৪০), পিতা- মৃত এন্তাজ আলী, ২। মোঃ শামীম মিয়া (৩২), পিতা- আলাল উদ্দিন, ৩। মোঃ আফছর আলী (৫০), পিতা-মৃত মাগন শেখ, ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে । এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে শেরপুর জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইবুনালের নির্দেশ এর শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর সিপিসি-১, র্যাব-১৪, জামালপুর ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এরই প্রেক্ষিতে ,অধিনায়ক, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর নির্দেশনায় সিপিসি-১, র্যাব-১৪, জামালপুরের একটি আভিযানিক দল ২২ জুন ২০২৫ খ্রি. সন্ধ্যা অনুমান ০৬ ঘটিকায় জামালপুর জেলার মেলান্দ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার ২নং এজাহারনামীয় আসামী মোঃ শামীম মিয়া (৩২), পিতা- মৃত আলাল উদ্দিন, সাং- তারাকান্দি, থানা-শেরপুর সদর, জেলা-শেরপুর‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তারপর দৃত আসামিকে শেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর বিচার মোঃ সুলতান মাহমুদ মিলন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে শেরপুর জেলা কারাগারে পেরণ করেন।